যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে ট্যাংক দেয়ার ঘোষণার পরপরই রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এই হামলায় একদিনেই ১১ জন নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেনের জরুরি বিভাগ। জ্বালানী অবকাঠামো ও আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় বিপর্যস্ত দেশটির বিদ্যুৎ পরিষেবা।

সামরিক সহায়তার মাধ্যমে ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে উস্কে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ক্রেমলিন। অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো এই যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ছে বলে দাবি মস্কোর। এটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরেকটি স্পষ্ট উসকানি হিসেবে দেখা হবে বলে এক বিবৃতি দিয়েছেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভ।

এর আগে ইউক্রেনে নিজেদের দখলে থাকা এলাকাগুলো রক্ষায় রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতেও পিছপা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। গত ২২ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রাম অ্যাপে তিনি লেখেন, এ ধরনের সুরক্ষার জন্য ‘কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রসহ’ রাশিয়ার সব ধরনের অস্ত্র কাজে লাগানো হবে।

অন্যদিকে, ইউক্রেনকে ট্যাংক সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ঠেকানোর প্রচেষ্টাকে উন্মত্ত যুদ্ধ উলে­খ করে তিনি আরও বলেন এই পদক্ষেপ রাশিয়াকে পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

চলমান যুদ্ধে রাশিয়াকে প্রতিহত করতে পশ্চিমা মিত্রদের কাছে ট্যাংক চেয়ে বারবার আবেদন করে আসছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে এ নিয়ে মতপার্থক্য তৈরি হয় পশ্চিমাদের মধ্যে।

কয়েক সপ্তাহে দফায় দফায় আলোচনায় এই মতপার্থক্য দূর হয়। অবশেষে ইউক্রেনের এ আবেদনে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দেয় জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনকে ১৪টি লেপার্ড ট্যাংক দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা ৩১টি আব্রামস ট্যাংক দেবে ইউক্রেনকে।